জোরে আমীন বলার স্বপক্ষে হানাফী আলেমদের মতামত:
(১)যদি এ ব্যাপারে ফয়সালা আমার উপর আসতো তাহলে আমি এভাবে সামন্জস্য করতাম যে,আস্তে বলা থেকে অর্থ বহুত চিল্লিয়ে না বলে মধ্যম আওয়াজে বলা।ইবনুল হুমাম হানাফী-ফতহুল কাদীর ১ম: ১১৭ পৃষ্ঠা।
(২)ইনসাফ হচ্ছে এই যে,দলীলের দিক দিয়ে জোরে আমীন বলা মজবুত।
আব্দুল হাই মুহাদ্দীস দেহলভী-তালিকুল মুমাজ্জাদ ১০৫ পৃষ্ঠা।
.
(৩)উচ্চঃস্বরে আমীন বলা লোকদের গালা গালি করা উচিৎ নয়,কারণ তারা হাদীসেরউপর আমল করে।
রশিদ আহমদ গাংগুহী হানাফী-সাবিলুর রশাদ,ফাতাওয়ায়েরশিদিয়া ৭২ পৃষ্ঠা।
.
(৪)আমীন জোরে বলা আস্তে বলা থেকে উত্তম।
শাহ ইসমাঈল শহীদ-তানবিরুল আইনাইন ৭১ পৃষ্ঠা।
.
(৫)আমীন উচ্চঃস্বরে বলার হাদীস সহিহ।
আইনী হানাফী-উমদাতুল কারী ৩য়ঃ ১১৩ পৃষ্ঠা।
.
(৬)নামাজে সেজদার জায়গায় নজর রাখা এবং জোরের নামাযে জোরে আমীন বলা শরীঈ পদ্ধতি।
.
আব্দুল কাদের জিলানী-গুনিয়াতুত তালেবীন ১মঃ ৪ পৃষ্ঠা।
.
(৭)যদি কোন হানাফী মাযহাবের লোক জোরে আমীন বলে এবং ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ে তার হানাফিয়াত ছুটিয়া যাইবেনা বরং আরও মজবুত হইবে।
শামসুল হক ফরিদপুরী-তার ওসিয়াত নামা, ৭নং ওসীয়াত।
.
এছাড়া হানাফী মাযহাবের ফেকহার কেতাবেও আমীন জোরে বলার সমর্থনে অনেক দলীল পাওয়া যায়।
.